দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। তবে ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ মুহূর্তে ১০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। সেদিন ১৩১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি অধিনায়ক আকবর আলি।
সেদিনের সেই আক্ষেপ আজ অবশ্য ঘুচেছে বাংলাদেশের।
রাজশাহী স্টেডিয়ামেই তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩৪ রানের জয় পেয়েছে তারা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে আকবরের দল।
সিরিজ জয়ের আগে অবশ্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে। কেননা ১৪৮ রানে প্রতিপক্ষের ৮ উইকেট তুলে নিয়েও শেষ দিকে হারের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ।
৯ম উইকেটে সেই শঙ্কা জাগিয়েছিলেন প্রোটিয়াদের দুই ব্যাটার এনকোবানি হ্যান্ডসাম মোকোয়েনা ও সেফো ইনোসেন্ট এনটুলি। ৫২ রানের জুটি গড়ে তারা প্রায়ই ম্যাচ বের করে নিয়েছিলেন।
তবে ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে ইনোসেন্টকে এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে ফেলে তা হতে দেননি রাকিবুল হাসান। ব্যক্তিগত ১৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারকে আউট করার আগেও তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
আর ফিরতি ওভরের ২ বলে রান নিতে গিয়ে আরিফুল ইসলামের থ্রোতে মোকোয়েনা আউট হলে উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
তাতে ৩৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ২২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে তখন নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল। কেননা এক শ রান না হতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলই নেন তিন উইকেট।
এমন বিপর্যয়ের সময়ই সর্বোচ্চ ৪০ রান করা তিয়ান মিচেল ফন ভুরেন দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন। শেষে অবশ্য জয়ের মুখ দেখতে পারেনি তারা। শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুদলই এক এক করে ম্যাচ জেতায় আজকেরটি ছিল ‘অলিখিত ফাইনাল’। তবে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই সংগ্রহটাও হতো না যদি না মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৫৮ রান না করতেন। অবদান কম নয়, রাকিবুলেরও। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়ার আগে দশম ব্যাটার হিসেবে খেলেন ৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি। ম্যাচসেরা অলরাউন্ডার ৪০ বলের ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কায়। অবশ্য ৩৮ রান করে অবদান রেখেছেন অধিনায়ক আকবরও।